, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


স্বৈরাচারের পতন উপলক্ষ্যে জাবিতে গরু-খাসি জবাই করে আনন্দ-উল্লাস

  • আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৯:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৯:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন
স্বৈরাচারের পতন উপলক্ষ্যে জাবিতে গরু-খাসি জবাই করে আনন্দ-উল্লাস
এবার স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতনের আনন্দে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছেন ‘মেজবান-ই-ইনকিলাব’। এ উপলক্ষ্যে একটি গরু ও খাসি জবাই করে শিক্ষার্থীরা প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এই ভোজের আয়োজন করা হয়।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা গরু ও খাসি নিয়ে হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হলে ফিরে আসে। শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা স্লোগান দেন, ‘ভাইগা গেছে স্বৈরাচার, সেই খুশিতে আনছি ষাঁড়,’ ‘গরু-খাসি আনছি তাজা, কামালউদ্দিন জাবির রাজা,’ এবং ‘কালকে খাবো গরু-খাসি, কামালউদ্দিন ভালোবাসি।’
 
শুক্রবার দুপুরে হলে সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের এক অনন্য মিলনমেলা। আড্ডা, গল্প এবং প্রীতিভোজে মেতে উঠেছেন সবাই। শিক্ষার্থীরা জানান, এটি শুধু একটি ভোজন আয়োজন নয় বরং তাদের ঐক্য ও প্রতিবাদের প্রতীক। আয়োজকরা বলেন, এটি আমাদের মুক্তির উদযাপন। স্বৈরাচারের পতন শুধু আমাদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য একটি নতুন সূচনা। আমরা সুন্দরভাবে তা উদযাপন করতে চেয়েছি।

আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, আমাদের এই আয়োজন শুধু ভোজন নয় বরং প্রতিবাদের এক অনন্য রূপ। স্বৈরাচারের পতন আমাদের জন্য মুক্তির বার্তা এনেছে। এই মেজবান ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে আমরা একদিকে উদযাপন করছি, অন্যদিকে ঐক্যের বার্তা দিচ্ছি। এটি প্রমাণ করে, আমরা যদি একত্রিত হতে পারি তবে যেকোনো অন্যায় বা শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব।

আয়োজক কমিটির সদস্য মুজতাহিদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শুধু পড়াশোনার জায়গা নয় বরং ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং প্রতিবাদের মঞ্চ। আমরা চাই এই আয়োজন সবাইকে অনুপ্রাণিত করুক এবং আগামী দিনে আমাদের এ ধরনের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো উদযাপন করার সুযোগ এনে দিক। স্বৈরাচারের পতন শুধু একটি সরকারের বিদায় নয়; এটি আমাদের আশার নতুন সূচনা।
১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু

১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু